উমা মন্ডল


উমা মন্ডলের কবিতা 


স্পন্ডিলাইসিস এবং....


১.

তিনতলার ঘরের পাশে যে সিঁড়িটা পাক খেয়ে আরও  উপরে উঠে গ্যাছে
ওটার ওপর এক পা,এক পা করে উঠতে ভালো লাগে
যেনো স্পাইন্যাল কর্ডের এক-একটি অধ্যায়কে ছুঁয়ে যাচ্ছি
সার্ভিক্স,থোরাসিক,লাম্বার....
খুঁজে দেখতে চাই তার যোগসূত্রের জটিল প্রাচীর ।
অনেক দিন ধরেই দেখি পাতার ওপরে ফুটে উঠছে গুঁড়ো,গুঁড়ো সাদা ধুলো
তার গুমরে থাকা অভিমান নিয়ে!
ঘুণ ধরেছে শরীরে
কিংবা হঠাৎ জন্মে ওঠা জীবাণুর কালো হাত
ছাই করে দিচ্ছে অষ্টধাতুর স্বপ্ন!?
প্রলয় আসার আগে বাঁধ মেরামত করতে হবে...

২.

জয়েন্টের বন্ধনীর এই ছিদ্রপথে কতকাল অন্ধকার জমে আছে নেট সার্চিং এ তার উত্তর পেলাম না
অথচ গোটা একটা দিন নষ্ট হয়ে গেলো বিনাপারিশ্রমিকে!
এখন আতসকাঁচের এই উত্তল লেন্সে যদি
সমাধান করতে পারি নদীপথের সমস্যা
স্রোত আপনিই সঙ্গমে পৌঁছতে পারে,
মেন্ডেলিকও শুদ্ধ ব্যাকরণসম্মত হয় ....

৩.

প্রথমেই সমস্যা ছিলো বারবার বলেছে
জেনেটিক ঘোড়া
এক্স-রের অতিতীব্র আলোককণা শুধু বাড়তি সম্মতিসূচক বসিয়ে দিয়েছে ,
তবুও যন্ত্রণা এক বিভ্রম
মহাকাশ, কি পৃথিবী, কি মানব পংক্তির
বংশগত ধারায়.....
ঊর্ধ্বতালুর জ্ঞানবৃক্ষের ছায়ায় একটু শান্তির ঘুম প্রত্যেক সজীব আত্মায় সুপ্ত জ্যোতিষ্কের মতো জ্বলতে থাকে
শুধু জ্বালানী লাগে এই লুপ্তপ্রায় লাইনটিকে উদ্ধার করতে.....

৪.

একটি বমি উদ্ধার করে অনেক অপাচ্য পুরাতন বিধি-নিষেদ
আমরা শিখে নি অজানা প্রতিষেধকের গঠনগত কৌশল,তবুও প্রাপ্তি নেই শুধুই শূন্যতার রোমন্থন
একটি কলার -বোন এ বসিয়ে দিই ঈশ্বরকে...
এখন হতাশা,জড়তার কালো মেঘ
যদিও উড়ে গ্যাছে, ভাগ্যচক্রের ধারালো শ্রুতির তীব্র স্বরে
তবুও চিলতে বিদ্যুৎ চমকায়
আকাশকে দুভাগ করে,
আমার হৃদ্স্পন্দনটাও টিকটিক বেজে চলে
হয়তো কোন আগ্নেয়গিরির ধ্যাননিদ্রা থেকে উঠে বসার সময় হলো.........
                                                                          

পাঠকের মতামতঃ